অনাবৃষ্টির কারণে বোরো ও সবজির কাঙ্খিত উৎপাদন হয়নি। মাটিতে জোঁ না থাকায় পাটের বীজ এখনও মাটিতে পড়েনি। কৃষকের এ সকল ক্ষতি পুষিয়ে নিতে খুলনার ৩ হাজার ৬০০ কৃষককে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মৌসুম শেষ হলেও প্রণোদনা পায়নি ফরিদপুরে পাট চাষিরা
জেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, এ কর্মসূচির আওতায় ৩ হাজার ৬০০ কৃষককে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। জেলার কৃষকরা ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রণোদনা পেয়েছেন। প্রনোদনা পাওয়া কৃষকদের মধ্যে দৌলতপুর ও লবনচারা এলাকার ৬০ জন, রূপসা উপজেলার ১০০, দাকোপ উপজেলার ১৫০, কয়রা উপজেলায় ২০০, দিঘলিয়া উপজেলায় ৩৪০, ফুলতলা উপজেলায় ৩৫০, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৪০০, পাইকগাছা ও তেরখাদা উপজেলায় ৬০০ জন করে এবং ডুমুরিয়া উপজেলায় ৮০০ জন রয়েছেন।
জেলার অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মো: আতিকুল ইসলাম বলেন, এ কর্মসূচির তালিকাভুক্ত প্রত্যেক কৃষক ৫ কেজি আউশ বীজ, ২০ কেজি ড্যাপ ও ১০ কেজি এমওপি সার পেয়েছে। বোনা আউশের চাষ শুরু হয়েছে। বৃষ্টির পরশ পেলে রোপা আউশের আবাদ শুরু হবে। এ প্রনোদণায় বিশেষ করে তেরখাদার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি উপকৃত হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আমন সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। কাঙ্খিত বোরো উৎপাদন হয়নি। ধান মাড়াইয়ের সময় ১০ শতাংশ চিটা পাওয়া যাচ্ছে। সরকারি খাদ্য গুদামে চাল ও গমের মজুদ তলানিতে। ভারত থেকে প্রতি মাসে চাল আমদানি হচ্ছে। এরপরও চালের মূল্যের উর্ধ্বগতি। খাদ্য ঘাটতি পূরণের লক্ষে কৃষককে উৎসাহিত করতে মূলত উফশী আউশ প্রণোদনা।
আরও পড়ুন: মাগুরায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিলের প্রণোদনার টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
কৃষকরা জানান, কোনও প্রকার দুর্যোগ বা রোগ বালাই দেখা না দিলে ২০ হাজার মেট্রিক টন আউশ ধান উৎপাদন হবে। আগামী ভাদ্র মাসে আউশ ধান উঠলে কৃষকরা ন্যায্য দাম পাবে বলে আশা করছেন।